হাওজা নিউজ এজেন্সি: এলিয়াসন তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লিখেন, স্পষ্ট যে, ইসরায়েল চলমান কূটনৈতিক সমাধান ধ্বংস করতে উন্মুখ ছিল। নেতানিয়াহুর কাছে যুদ্ধই প্রিয় অপশন। এই মুহূর্তে ট্রাম্পের ইসরায়েলকে ইরানে হামলা করার অনুমতি দেওয়া আশ্চর্যজনক। এখন এই অগ্নিকাণ্ডকে যেন অন্তহীন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত না হয়, তা রোধ করার চাবিকাঠি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেন, আমরা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ও আলোচনার মধ্যপথে ছিলাম, যখন ইসরায়েলি দখলদার রাষ্ট্রের আগ্রাসনের মুখোমুখি হই। আমার পূর্ববর্তী বক্তব্যের মতোই, এই হামলা—যা মার্কিন সমন্বয়, সহযোগিতা ও সমর্থন ছাড়া করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি না—কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে অর্থহীন করে দিয়েছে। তাই এর দায় বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রসহ বিরোধী পক্ষের ওপর বর্তায়, যাদের স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত।
২০ জুন, ভোরে ইসরায়েলি দখলদার রাষ্ট্র তেহরান ও ইরানের কয়েকটি শহরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে একদল সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক শাহাদাতবরণ করেন।
এই বর্বরোচিত হামলার জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এই নীচ ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে অসহায় করে দেবে। ইনশাআল্লাহ, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জীবন তিক্ত করে তোলা হবে এবং কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রতিশোধস্বরূপ, ইরান শনিবার সন্ধ্যায় “ওয়াদায়ে সাদেক-৩” বা ট্রু প্রমিজ-৩” অভিযানের অংশ হিসেবে দখলকৃত ভূমির দিকে ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
আপনার কমেন্ট